December 22, 2024, 9:48 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে ফ্রান্স সরকার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের স্বার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার এই নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উভয়েই আশাবাদী।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার পাঁচ দশকের অধিক সময় চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন, আজ তা একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ধারাবাহিকতার অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন ফ্রান্স সরকার। এ জন্য রাষ্ট্রপতি মাখোঁর নেতৃত্বে ফ্রান্স সরকার এবং ফ্রান্সের জনগণকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মাখোঁর এই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছু সমঝোতায় পৌঁছাতেও সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়নসহযোগী হিসেবে ফ্রান্স আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ও ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা পূনর্ব্যক্ত করেছে। এজন্য আমি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে ফ্রান্স সরকার ও ফ্রান্সের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁর এ সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছু সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ফ্রান্স আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৌশলগত সুরক্ষা অবকাঠামো বিনির্মাণে উন্নত ও বিশেষায়িত কারিগরি সহায়তা প্রদানে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স নেতৃস্থানীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় ১০ মিনিটে নয়াদিল্লি থেকে তাকে বহনকারী প্লেনটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
উল্লেখ্য, ৩৩ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরে এলেন। এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা ঢাকা সফর করেছিলেন।
Leave a Reply